বকেয়া বেতনের দাবীতে কারিগরি শিক্ষকরা রাজপথে
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রায় আটশ’ কারিগরি শিক্ষক। দীর্ঘ ১৮ মাস ধরে পাওনা বেতন থেকে হচ্ছেন বঞ্চিত, চাকরিও স্থানান্তরিত হচ্ছে না রাজস্ব খাতে। তাদের অনেকেরই আবার সরকারি চাকরির আবেদনের মেয়াদও হয়ে যাচ্ছে শেষ। এতে পরিবার-পরিজন নিয়ে অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। এহেন সঙ্কটকালীন সময় থেকে পরিত্রাণ পেতে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সুদৃঢ় হস্তক্ষেপ কামনায় এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেও নেমেছেন রাজপথে।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে বকেয়া বেতন ও চাকরি রাজস্বায়ন এর দাবিতে শিক্ষকদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১১ টায় উপজেলার ইসলামপুরস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউটের সামনে ‘বাংলাদেশ পলিটেকনিক টিচার্স ফেডারেশন এবং আমরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের উদ্যোগে ‘স্কিলস এ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট (এসটিইপি)’ স্টেপ শীর্ষক সমাপ্ত প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে প্রক্রিয়াধীন ৭৭৭ জন শিক্ষকের ১৮ মাসের বকেয়া বেতন ও চাকরি রাজস্ব খাতে দ্রুত স্থানান্তরের দাবীতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা রাজপথে মানববন্ধন করে। ঘন্টাব্যাপী চলমান মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইন্সট্রাক্টর মো. আল আমিন, সজল চন্দ্র দাস, শেখ মাসুম, মো. মামুন, মো. তোফাজ্জুল হক, শাহনাজ পারভীন, শিক্ষার্থী নিলয় রহমান ইমন প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, ২০১৯ সালে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদিত অনুশাসনের আলোকে প্রকেল্প নিয়োজিত শিক্ষকদের সাময়িকভাবে বহাল রেখে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এরই আলোকে ২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকারের থোক বরাদ্দ থেকে ওই শিক্ষকদের বিতন ভাতাদি পরিশোধ করা হয়েছে। তবে বিগত ১৮ মাস যাবৎ প্রকেল্প নিয়োজিত শিক্ষকদের বেতন ভাতাদি বন্ধ রয়েছে। এছাড়া অনেকের সরকারি চাকরির আবেদনের মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। এতে এসব শিক্ষকরা তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে যাপন করছেন অত্যন্ত মানবেতর জীবন। এই সংকটকালীন সময় থেকে পরিত্রাণ পেতে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সুদৃঢ় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।