৩দশক পর কোচের সম্মানে খেললেন সাবেক খেলোয়াড়রা

 শিষ্যদের ভালোবাসায় কাঁদলেন কোচ
আল-আমিন কিবরিয়া।।
মুজিবুর রহমান। পরিচিত মুজিব ভাই নামে। কুমিল্লার ফুটবল অঙ্গে একটি আলোকিত নাম। ৮০ দশকে এ ফুটবলপ্রেমীর হাত ফুটবল খেলায় কুমিল্লা সারা দেশের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। ৩ যুগ পেরিয়ে গেলেও ওস্তাদ মুজিবের কথা ভুলেননি শিষ্যরা। ৩দশক পর শিষ্যদের খেলা দেখে ও সম্মাননা পেয়ে কাঁদলেন কোচ মুজিবুর রহমান।
কুমিল্লা নগরীর একটি সামাজিক সংগঠন আলোকিত বজ্রপুর ফুটবলপ্রেমী মুজিবের সম্মানার্থে আয়োজন করে সম্মাননা অনুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠানে ফুটবলপ্রেমী মুজিবকে সম্মাননা প্রদান, স্মৃতিচারণ ও মুজিবের সম্মানার্থে ৮০ দশকের সাবেক ফুটবল খেলোয়াড়দের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচ।

inside post


শুক্রবার বিকালে এসব আয়োজন হয় কুমিল্লা জিলা স্কুল মাঠে। সেখানে দেখা যায়, স্কুল মাঠে বিভিন্ন বয়সের মানুষে ভিড়। তাদের মধ্যে ফুটবল প্রেমী মুজিবের ২৪ জন শিষ্য মাঠে নেমেছেন। এ ২৪ জনের মধ্যে একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। বয়সের ভারে খেলার গতি কিছু কমলেও কৌশল গুলো ভুলেননি তারা। খেলার পর সম্মাননা প্রদান ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ক্রীড়া সংগঠক বদরুল হুদা জেনু, পরিকল্পনা কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মাসুদ রানা চৌধুরী, বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক খেলোয়াড় ও ফুটবল কোচ প্রণব কুমার দে ভানু, কুমিল্লা জেলা দলের ফুটবল ও হকি সাবেক খেলোয়াড় তোফাজ্জল হোসেন, লেখক আহসানুল কবীর, আলোকিত বজ্রপুরের সংগঠক রফিকুল ইসলাম সোহেল, হাসিবুল হাসান সুমন, রুবেল পালসহ ফুটবল প্রেমী মুজিবের শিষ্যরা।
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বক্তারা বলেন, ৮০ দশকে মুজিব কুমিল্লার ফুটবল অঙ্গনে একটি বাতিঘর ছিলেন। তার হাত ধরে ওই সময় তরুণ সমাজ খেলার দিকে অগ্রসর হয়। মুজিবের ফুটবল টিম এতই ভালো করতো। সব ছেলেরা মুজিবের টিমে খেলতে চাইতো। এখন এই খেলা প্রেমের মানুষ নাই। এমন খেলাপ্রেমী মুজিব কুমিল্লাতে আরো প্রয়োজন।
কোচ মুজিবুর রহমান বলেন,৭৮সাল থেকে ৯০সল পর্যন্ত পুরোদমে মাঠে ছিলাম। ছেলেদের তখন মাঠে নিয়ে যেতাম। যেকারণে অনেকে মাদক থেকে দূরে থাকে। ছেলেদের খেলা দেখে সেই ৮০এর দশকে ফিরে গিয়েছিলাম। তাদের সাথে ভালো একটা সময় কাটলো।

আরো পড়ুন