কুমিল্লায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবলীগের সংঘর্ষে আহত-১০
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় যুবলীগের দুই নেতার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে ১০জন আহত হয়েছে। তিতাস উপজেলার সাতানী ইউনিয়নে কৃষ্ণপুর গ্রামের জুই¹া মার্কেটে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় পুলিশ মোশারফ হোসেন নামের একজনকে আটক করেছে। তাকে সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এলাকাবাসীর সূত্র জানায়, ওই ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি মো. লিটন ও সহ-সভাপতি মুক্তার হোসেনের মধ্যে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। তারই জের ধরে রবিবার বিকালে লিটন গ্রæপের শহিদুল ইসলাম ও মুক্তার গ্রæপের প্রধান মুক্তার উভয়ে প্রথমে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আহতরা হলো লিটন গ্রæপের শহিদুল ইসলামসহ কয়েকজন। মুক্তার গ্রæপের মুক্তার, রহমান,ইউনুছ ও বাসুরা বেগম।
এবিষয়ে মো. লিটন সাংবাদিকদের জানান, আমাদের ওয়ার্ড মেম্বার মুন্নাফ মিয়াকে মুক্তার গালমন্দ করছে। তার কারণ শহিদুল ইসলাম জানতে চাইলে মুক্তার তার সাথে থাকা ছুরি দিয়ে শহিদুলকে ছুরিকাঘাত করতে যায়। দুইজনের মধ্যে হাতাহাতিতে শহিদুল ও মুক্তার আহত হয়।
এদিকে আহত মুক্তার বলেন, বিকালে আমি মুছা মিয়ার চায়ের দোকানে বসা ছিলাম। এসময় বিনাকারণে লিটন,শহিদুলসহ ২০/২৫ জন আমার উপর হামলা করেছে।
এবিষয়ে তিতাস থানার ওসি সৈয়দ মোহাম্মদ আহসানুল ইসলাম বলেন, এঘটনায় মুক্তার গ্রæপের সেকান্দর বাদী হয়ে ১৫ জনের নামে মামলা দায়ের করেছে। এদের মধ্যে এজাহার নামীয় মোশারফ নামের একজনকে রাতেই আটক করা হয়েছে।