মোকতাদির ও তার স্ত্রীসহ ১৯৫ জনের নামে হত্যা মামলা

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক গৃহায়ণ ও গণপুর্ত মন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, তার স্ত্রী মাউশি’র সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুনসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ১৯৫ জনের নামে হয়েছে হত্যা মামলা। বিগত ২০২১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডব চলাকালে কাউসার আহম্মেদ হত্যা ঘটনায় তার চাচা বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করা হয়।
প্রকাশ, বিগত ২০২১ সালের ২৭ মার্চ বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের নন্দনপুরস্থ বিসিক’র রাস্তার সামনে সংঘর্ষের সময় বুধল পশ্চিম পাড়ার আলী আহাম্মদের ছেলে কাউসার আহম্মেদ হত্যার শিকার হন। এই ঘটনায় তার চাচা আকরাম হোসেন আদনান বাদী হয়ে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় এই মামলা দায়ের করেন বলে সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় সাবেক গৃহায়ণ ও গণপুর্ত মন্ত্রী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর, তার স্ত্রী মাউশি’র সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র নায়ার কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন খোকন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাক আহম্মেদ ভূইয়া, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান রবিউল আলম, মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল-আমিন পাভেলসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ১৯৫ জন নেতাকর্মীর নামেল্লেখ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরো ১৫০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার বাদী আকরাম হোসেন আদনান অভিযোগ করেন, বিগত ২০২১ সালের মার্চ মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে হেফাজত ইসলামের নেতৃত্বে আন্দোলন কর্মসূচির সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া উত্তাল অবস্থা বিরাজ করে। এতে বেশ কয়েকজন নিহত হন। তখন জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ মিছিল হয়। অন্যান্যদের সাথে নিহত কাউসার আহম্মেদ মিছিলে অংশগ্রহণ করে। ২৭ মার্চ বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের নন্দনপুরস্থ বিসিক’র রাস্তার সামনে সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য র. আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নির্দেশে আন্দোলনকারীদের উপর গুলি ও ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। তাদের ছোড়া গুলি কাউসারের নাভিতে লেগে গুরুতর আহত হয়। পরে কাউসার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৭ মার্চ রাত সাড়ে ৮ দিকে মারা যায়। ওই সময় পুলিশ ও প্রশাসনের অসহযোগিতা এবং আওয়ামী লীগের দমন-নিপীড়নের ভয়ে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি।