‘সালমান এফ রহমান একজন প্রসিদ্ধ ডাকাত’

 প্রতিনিধি।।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘আমাদের দেশের সালমান এফ রহমানের নাম শুনেছেন? তার কোম্পানি হচ্ছে বেক্সিমকো; জানেন? সেটা বয়কট করুন। পারবেন? সালমান এফ রহমান একজন প্রসিদ্ধ ডাকাত। এমনিতে তাকে দরবেশ বলে। কারণ তিনি দাঁড়ি রেখে ডাকাতি করেন। তাকে কিন্তু আগেই ধরা হয়েছিল। কিন্তু পরে তার দাঁড়ি কামিয়ে লুঙ্গি পরিয়ে মানুষের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছিল। এমন জীবন কে চান!
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে কুমিল্লার একটি রেস্টুরেন্টে ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) আয়োজনে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের রিসেপশন প্রোগ্রামে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াত ইসলামের নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। অনুষ্ঠানের অংশগ্রহণ করেন কুমিল্লার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এসময় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ক্যারিয়ার গাইডলাইন বিষয়ক আলোচনা করেন সেন্ট্রাল মেডিক্যাল কলেজ মেডিসিন বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. মো. মাহবুবুল ইসলাম মজুমদার।

নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আরো বলেন, বাংলাদেশের একমাত্র সমস্যা হচ্ছে দুর্নীতি। যারা এই দেশ শাসন করেছে ৫৫ বছর তারা কেউই দুর্নীতি থেকে এদেশকে রক্ষা করতে পারেনি। দুর্নীতি যদি বন্ধ হয়ে যায় আমাদের জিডিপি দ্বিগুণ হয়ে যাবে। একটা দুর্নীতিমুক্ত, জ্ঞানসম্পন্ন, নৈতিকতা সম্পন্ন ও মানবিক সমাজ আমাদের দরকার। এখন এটি অর্জনের সময় এসেছে। এটি ইতিহাসের একটি পরিবর্তন হতে পারে। আমরা এমন একটি জায়গায় পৌঁছেছি যা আমাদের জন্য একটা সুযোগ তৈরি করেছে। যদি এই সুযোগ আমরা কাজে লাগাতে না পারি তাহলে তো আগের মতই হবে যেই লাউ সেই কদু।
জামায়াত নেতা তাহের বলেন, এটি আমাদের তৃতীয় স্বাধীনতা পেয়েছি। ৪৭ সালে একবার, ৭১ সালে একবার এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালে একবার। যদি ৭১ থেকে শুরু করেন তাহলে এটি আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা।
ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম কুমিল্লার সভাপতি ডা. জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন এনডিএফ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. জুয়েল রানা।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন।

বক্তব্য রাখেন,সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. জহিরুল আলম, বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ডা. শাহ আলম, অর্থ সম্পাদক ডা. জাবেদ আহমেদ, সমাজসেবা সম্পাদক ডা. মঞ্জুর আহমেদ সাকি।

উপস্থিত ছিলেন জামায়াত ইসলামীর মহানগর আমির কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, যুগ্ম সম্পাদক ডা. গিয়াস উদ্দিন ও ডা. মো. আরিফ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. কাউছার হামিদসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।