ইপিজেডকে ঘিরে যত সুপারশপ

হাসিবুল ইসলাম সজিব।।
কুমিল্লা বিমানবন্দর এলাকায় অবস্থিত জাতীয় রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা ইপিজেড। ২৫-২৬ বছর আগে এই এলাকায় দিয়ে ভয়ে ও চলাচল করতেন না মানুষ। দিন দুপুরে হতো ছিনতাই, বিকাল হলে এখানে রাজত্ব ছিল শিয়ালের। ইপিজেড হওয়ায় পরিবর্তন হয়েছে আশপাশের অর্থনৈতিক অবস্থা। ইপিজেড গেইটকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে কয়েকশ’ দোকানপাট ও বিভিন্ন সুপারশপ। সহজ হয়েছে মানুষের জীবনযাত্রা।
সূত্র মতে, কুমিল্লা বিমানবন্দর এলাকায় সরকার ১৯৯৯ সালের ৭ মার্চ ২৬৭ দশমিক ৪৬ একর জায়গায় নিয়ে ইপিজেড প্রকল্প শুরু করেন এবং ২০০০ সাল থেকে তার রপ্তানি প্রকিয়াকরণ শুরু হয়। এতে পরিবর্তন হতে থাকে আগে পাশের মানুষের জীবন। খালি স্থান গুলো ভরে যায় বিভিন্ন দালান কোটায়,দোকান-পাটে। বাড়তে থাকে মানুষের আত্মকর্মস্থান, পরিবর্তন হয় অর্থনৈতিক অবস্থা। বর্তমানে এ ইপিজেডে কর্মরত শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। যার মধ্যে ৮০ ভাগ মহিলা এবং ২০ ভাগ পুরুষ । তার সাথে উন্নয়ন হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
বিভিন্ন কোম্পানির সুপারশপ গুলো হচ্ছে বেস্ট বাই। ২০১৩ সালে রোসা সুপারশপ,২০১৬ সালে স্বপ্ন সুপারশপ ও ২০২১ সালে ডেইলি শপিং সহ ২০২০ সালে সিঙ্গার ও রিগ্যালপর শো রুম। ইপিজেডের শ্রমিকসহ এলাকার সাধারণ মানুষ তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের খাদ্য দ্রব্য কিনতে পারে এসব সুপারশপ থেকে। সুপারশপ তৈরিতে কর্মসংস্থান হয় বেকার স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের।
কয়েকজন শ্রমিক আমোদকে জানান, ইপিজেড গেইটে বিভিন্ন সুপারশপ হওয়াতে আমাদের অনেক উপকার হয়েছে। ডিউটি শেষ করে বাসায় যাওয়ার পথে বাচ্চাদের পছন্দ মতে বিভিন্ন ধরনের গোস্ত, মাছ, শাক-সবজি, ফল-মুল প্রয়োজন অনুযায়ী কিনে নিতে পারি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এক সময় এলাকাটি নিস্তব্ধ ছিল। মেডিকেলের রোগী এবং স্বজনরা ছাড়া ছিল না কারো যাতায়াত। দিন দুপুরে শিয়ালের ডাক শুনে ভয় পেতো এলাকার লোকজন। ইপিজেড হওয়ায় পরিবর্তন হতে থাকে চারপাশ। গড়ে উঠতে থাকে দোকানপাটসহ বিভিন্ন কোম্পানির সুপারশপ ও শো-রুম।
সিঙ্গার শো-রুমের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মোঃ নাঈম উদ্দিন জানান, সিঙ্গার বাংলাদেশে ১৯০৫ সালে থেকে গ্রাহকদের মন জয় করে আসছে। ইপিজেডকে কেন্দ্র করে এখানে সিঙ্গারের ব্রাঞ্চ হওয়াতে ইপিজেডের কর্মীরা তাদের প্রয়োজন বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও হোম এপ্লাইয়েন্স পণ্যের চাহিদা পূরণ করছে । এখানে শো-রুম চালু হয়ার পর থেকে আমরা সফলতার সাথে গ্রাহক সেবা দিয়ে যাচ্ছি। এতে গ্রাহকরাও সন্তুষ্ট।