জাপানে জাতীয় শোক দিবস পালন

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে জাপানের কানসাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ওসাকার তয়োনাকা সিটি লাইফ সেন্টার মিলনায়তনে দিবসটি উপলক্ষে সোমবার এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

 

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন সংগঠনের সদস্যরা। পরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নিহত সদস্যদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

কানসাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সাদাত মো. সায়েমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন অর রশিদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে যোগ দেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু।
তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশবিরোধী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এক ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কিছু দুষ্কৃতকারী সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল। এটা ছিল ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড। বিশ্ব মানবতার ইতিহাসে ১৫ আগস্ট এক কলঙ্কিত দিন। বাঙালি জাতির জন্য সবচেয়ে বেদনার দিন।
মো. আশরাফ আলী খান খসরু আরো বলেন, জেনারেল জিয়া ১৯৭৯ সালে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সসহ সকল অবৈধ ও অসাংবিধানিক আইনকে বৈধভাবে প্রণীত আইন বলে ঘোষণা দিলো, যা ছিল সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক। সেই সংশোধনীতে এটি উল্লেখ করা হলো, কোনও আদালতে এই সকল আইনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না। ১৫ আগস্ট পরবর্তী সরকারগুলো ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সের দোহাই দিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করতে দেয়নি। তারা শুধু খুনিদের পক্ষেই অবস্থান নেয়নি তাদেরকে পুরস্কৃত করেছিল। জিয়া, এরশাদ ও খালেদার সরকার খুনিদের রাষ্ট্রদূতসহ বিদেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিল।
সভাপতির বক্তব্যে আবু সাদাত মোঃ সায়েম বলেন, ১৫ আগস্ট এক বেদনাসিক্ত দিন। আজ থেকে ৪৭ বছর আগে ১৯৭৫ সালের এই দিনে বাংলাদেশের ইতিহাসে যোগ হয়েছে এক নারকীয় হত্যাকাণ্ডের অধ্যায়। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে ওই দিন হত্যা করা হয়। ১৫ আগস্টের ঘটনায় প্রত্যক্ষ কয়েকজন খুনির সাজা হয়েছে মাত্র। কিন্তু দেশের ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের সব কুশীলবকে আনতে হবে প্রকাশ্যে। এমনকি তারা যদি মারাও গিয়ে থাকেন, ইতিহাসের সত্যের খাতিরে তাদের দায় ও অবস্থান নিরূপণ করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন একটি জাতীয় কমিশন গঠন।

 

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ আমিনুর রহমান, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মাসুদুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুন অর রশিদ। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন, আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আশরাফুল আলম রোমেল, দপ্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, সহ দপ্তর সম্পাদক শাহ লালন, কানসাই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ জনি, সাধারণ সম্পাদক অজিত দাশ, ওসাকা ছাত্রলীগ সভাপতি সাকিব হাসান, কানসাই বাংলাদেশ যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমুল আজাদ রাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুর রহমান আকাশ, কানসাই বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মাহফুজুল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতেখার হোসাইন সুখন প্রমুখ।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি।