দেড় মাস পর স্বাভাবিক হবে কুমিল্লার আলুর বাজার
হাসিবুল ইসলাম সজিব।।
আলু বাজার স্বাভাবিক হতে এক থেকে দেড় মাস সময় লাগতে পারে বলে জানান পাইকারি ও খুচরা ব্যাবসায়ীরা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব মতে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলুর দাম ৩৫ শতাংশ বেশি। সাধারণত প্রতিবছর উৎপাদন মৌসুমে আলুর দাম ২০-৩০ টাকা এবং মৌসুম শেষে ৪৫-৫০ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। কিন্তু এ বছরের শুরু থেকে আলুর মূল্য ঊর্ধ্বমুখী, যা এখন প্রতি কেজি ৭০ টাকা। অন্যদিকে কোল্ডস্টোরেজ পর্যায়ে আলুর দাম বর্তমানে ৬০-৬২ টাকা কেজি, আর বীজ আলুর দাম আরও চড়া, কেজি ৮৫-৯৫ টাকা। ২০২১ সালের নভেম্বরের মাঝামাঝি দেশে আলুর দাম ছিল ২০-২৫ টাকা কেজি। ২০২২ সালে তা সামান্য বেড়ে ২২-২৮ টাকায় পৌঁছায়। কিন্তু ২০২৩ সালে এই দাম হঠাৎ বেড়ে ৪৫-৫০ টাকায় উঠে যায়। চলতি বছর কেজিপ্রতি দাম আরও বেড়েছে ১৫-২০ টাকা।
মঙ্গলবার নগরীর রাজগঞ্জ ও চকবাজারের খুচরা প্রতিকেজি আলু বিক্রয় হচ্ছে ৮০ টাকা ধরে। নতুন আলু ১০০-১২০ টাকা। পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৬৭-৭১ টাকা পর্যন্ত।
চকবাজারের আলু ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেন জানান, কোল্ডস্টোরেজ আলুর পরিমাণ অনেক কম থাকায় আলুর দাম বৃদ্ধি। সামনের দিনগুলোতে আরো দাম বৃদ্ধি হতে পারে। কারণ হিসেবে নতুন আলু বাজার আসতে এক থেকে দেড় মাস সময় লাগবে। চাহিদার তুলনায় আলু বাজারে অনেক কম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজগঞ্জ বাজারে এক ব্যবসায়ীক বলেন, কাঁচা বাজারের দাম প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল। গত বছরের বন্যায় আগাম যে আলু গুলো বাজারে আসার কথা তা নষ্ট হয়েছে। এতে অনেকটা ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এ বছরও বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির পানিতে অনেক বীজ নষ্ট হয়ে গেছে।
কুমিল্লা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: আছাদুল ইসলাম জানান, কুমিল্লার কোল্ডস্টোরেজ গুলোতে আলু একবারে নেই। যা আছে সেগুলো উত্তরবঙ্গ থেকে ক্রয় করা আলু। আমরা সকল কোল্ডস্টোরেজ মালিকদের সাথে মিটিং করে জানলাম উত্তরবঙ্গ থেকে আলু বেশি দামে ক্রয়ের কারণে আলুর দাম বৃদ্ধি। তবে কোথায়ও অতিরিক্ত দামে বিক্রি হলে আমরা তার ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে আলুর বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৮০ লাখ টন এবং বীজ আলুর জন্য অতিরিক্ত ৭ দশমিক ৫ লাখ টন প্রয়োজন। এ অনুযায়ী, প্রতি মাসে গড়ে ৬ লাখ টনের বেশি আলুর চাহিদা রয়েছে, কিন্তু বর্তমান মজুত পরিস্থিতি এ চাহিদা পূরণে যথেষ্ট নয়।