নবীনগরে মূল প্রার্থীকে হত্যা : ভোট লড়াইয়ে দেবর-ভাবী

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
তফসিল ঘোষণার আগের রাতে খুন হলেন মূল প্রার্থী। তাই এবার ভোট লড়াইয়ে অবতীর্ণ হলেন দেবর-ভাবী, হত্যাকাণ্ডের শিকার এরশাদুল হকের আপন ছোট ভাই আক্তারুজ্জামান ও স্ত্রী ইসরাত জাহান সেতু। এই চিত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নে।
আগামী ৩১ জানুয়ারি ষষ্ঠ ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ইউপি নির্বাচনে নাটঘর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ভোটের মাঠে নেমেছেন দেবর-ভাবী। তারা হলেন নাটঘর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ডা. আবুল কাসেমের বড় ছেলে সদ্য খুন হওয়া এরশাদুল হকের স্ত্রী ইসরাত জাহান সেতু এবং তার আপন দেবর আক্তারুজ্জামান।দু’জনই নৌকার মাঝি হতে মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন।
চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার মানসে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমাদানকারী নিহত এরশাদুল হকের স্ত্রী ইসরাত জাহান সেতু জানান, ‘জনগণের দাবীর প্রেক্ষিতে আমার স্বামী নাটঘর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিলেন। তাঁর জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়েই ঘাতকেরা আমার স্বামীকে গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। আমার সন্তানেরা স্বপ্ন দেখেছিল তাদের দাদার মতো বাবাও চেয়ারম্যান হবেন। এখন তাদের বাবা নেই, আমিই তাদের বাবা-মা। এলাকাবাসী,আমার সন্তানদের স্বপ্ন এবং আমার স্বামীর ইচ্ছা পূরণ করতে পরিবারের সম্মতি নিয়েই আমি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি।’ অপরদিকে একই পরিবার থেকে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ এবং জমাদানকারী নিহত এরশাদুল হকের ছোট ভাই আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘পরিবারের সাথে আলোচনা করেই দলীয় ফরম কিনেছি, জমা দিয়েছি। দল যাকে মনোনয়ন দিবে তার পক্ষেই কাজ করবো।’
নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন চৌধুরী শাহান বলেন, ‘নাটঘর ইউনিয়নে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী মোট পাঁচজন দলীয় মনোনয়নপত্র আজকে (মঙ্গলবার) জমা দিয়েছে। তাদের মধ্যে ইসরাত জাহান সেতু এবং তার আপন দেবর আক্তারুজ্জামানও রয়েছে।’
উল্লেখ্য, নাটঘর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ডা. আবুল কাসেমের বার্ধক্যজনিত কারণে তার বড় ছেলে এরশাদুল হক বাবার কাজকর্ম পরিচালনা করতেন। ষষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচনে নাটঘর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য দলীয় প্রার্থী ছিলেন এরশাদুল হক। গত ১৭ ডিসেম্বর রাতে ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে এবং তার মোটরসাইকেলের চালক বাদল সরকারকে গুলি করে হত্যা করে।