কাউন্সিলর আলমগীরকে গ্রেফতারের দাবিতে মানবন্ধন
আমোদ রিপোর্টার।।
জুমার নামাজের পর প্রকাশ্যে শতশত মানুষের সামনে ব্যবসায়ীকে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। রোববার কুমিল্লা নগরীর ২৩ নং ওয়ার্ডের চাঙ্গিনী এলাকায় কাউন্সিলর আলমগীরের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন প্রায় চারশত নারী পুরুষ।।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা ভুল মানুষকে ভোট দিয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত করে ছিলাম। ক্ষমতা পাওয়ার পর সে চাঁদাবাজি, মানুষ হত্যা করবে, এমন হলে আমরা ভোট দিতাম না। অবিলম্বে অত্যাচারী কাউন্সিলরকে অপসারণ করে, বিচারের আওতায় আনা হোক।
আরও পড়ুন>>>
কাউন্সিলর আলমগীরের ত্রাসের রাজত্ব
এ সময় নিহত আকতার হোসেনের মেয়ে শিরিন আক্তার পলি বলেন, আমি বাবা হত্যার বিচার চাই, খুনিদের ফাঁসি চাই। আজ দশ বারো দিন হয়ে গেছে, এখনও প্রধানআসামী গ্রেফতার হয়নি। কাউন্সিলরের লোকজন মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আমদের হুমকি দিচ্ছে। এ হত্যা দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।
নিহত আকতার হোসেনের ছোট ভাই মো. আলাল বলেন, এ খুনিকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার ও কাউন্সিলর পদ থেকে অপসারণের দাবি করছি। কাউন্সিলরসহ সকল আসামিদের দ্রুত বিচার করা হোক। আমরা তার ফাঁসি চাই।
মানববন্ধনে ছিলেন ফরিদা বিদ্যায়াতনের সিনিয়র শিক্ষক শাহজান মাষ্টার, চাঙ্গিনী সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির সভাপতি, ২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ এর সহ-সভাপতি মমতাজ মেম্বার, চাঙ্গিনী বাইতুন নূর জামে মসজিদের ইমাম শহিদুল ইসলাম, ২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মো. মনির হোসেন, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল হাসান সাকিব, ২৩নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিল আহম্মেদ, মহিউদ্দিনসহ প্রায় চারশত নারী পুরুষ এ মানবন্ধনে অংশ গ্রহণ করে।
প্রসঙ্গত, গত ১০জুলাই জুমার নামাজের পরে কয়েক শ’ লোকের সামনে মসজিদ থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে আক্তারকে কাউন্সিলরসহ তার পরিবারের সদস্যরা কুপিয়ে হত্যা করে বলে নিহতের পরিবারের সদস্যদের দাবি। এ ঘটনায় কাউন্সিলরসহ ১০ জনের নামে মামলা করেছে নিহতের স্ত্রী। তাদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
চাঙ্গিনীতে ব্যবসায়ী হত্যা; কাউন্সিলর ও তার স্ত্রীর হামলার ছবি ভাইরাল