সনাকের সাথে কুমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত
সুশাসন ও জবাবদিহীতা নিশ্চিতের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)’র অনুপ্রেরণায় গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), কুমিল্লার উদ্যোগে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে “করোনাকালীন স্বাস্থ্যসেবা: চ্যালেঞ্জ ও করনীয় শীর্ষক ভার্চুয়াল সভা গতকাল ০৮ আগষ্ট ২০২০ তারিখ সকাল ১১ টায় অনুষ্ঠিত হয়। টিআইবি’র এরিয়া ম্যানেজার প্রবীর কুমার দত্ত এর সঞ্চালনায় সনাক সভাপতি বদরুল হুদা জেনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় করোনাকালীন সময়ে প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক মিডিয়ায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে প্রচারিত বিভিন্ন প্রতিবেদন সম্পর্কে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষন করা হয়।
সনাক কুমিল্লার সদস্য ও বিশিষ্ট সাংবাদিক ইয়াসমিন রীমা করোনাকালীন স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন তথ্য সভায় উপস্থাপন করেন। আলোচনায় অংশ নিয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডা: মো: মুজিবুর রহমান করোনাকালীন সময়ে কুমিল্লাবাসীর সেবায় নিরলস ভাবে কাজ করার কথা সভাকে অবহিত করেন। তিনি বলেন, কুমিল্লার করোনা মোকাবেলায় সমন্বিতভাবে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৮টি আইসিইউ, নেজল ক্যানোলা মেশিন সংগ্রহ ও ১১৮ বেড স্থাপনসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ বরা হয়েছে। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বর্তমানে কাজ করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর অধিকাংশই আউটসোসিং এর মাধ্যমে কর্মরত, যে কারণে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় না। ইতিমধ্যে কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েকজনকে চাকুরীচ্যুত করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোন ধরনের গাফিলতী কখনই প্রশ্রয় দেয়া হবে না, যদি কারও বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকে তাহলে সরাসরি তাঁর কাছে অভিযোগ করার আহবান জানান। তিনি করোনাকালীন হাসপাতালের সহকর্মীদের কাজে সন্তুুষ্টি জানিয়ে বলেন, সুশাসনের চর্চা বৃদ্ধির পাশাপাশি স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধির এই ধারাবাহিকতায় সকলে সম্মিলিতভাবে অব্যাহত রাখতে হবে।
]তিনি প্রত্যেকটি পর্যায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানান। সনাক উপদেষ্টা ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা: মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন প্লাজমা থেরাপি বর্তমান সময়ে একটি বহুলপ্রচলিত চিকিৎসা, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষ এই ক্ষেত্রে যারা সুস্থ হয়েছেন তাদের ডাটা সংগ্রহ করার মাধ্যমে এই কার্যক্রম শুরু করার আহবান জানান।
তিনি আরো বলেন, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে করোনা পরীক্ষায় আরো গতি আনার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানান। টিআইবি’র কুমিল্লা ক্লাস্টারের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো: হুমায়ুন কবীর বলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সনাকের পারস্পরিক সহযোগিতার সেতুবন্ধনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবাকে জনবান্ধব করাই টিআইবি’র মূল লক্ষ্য. সনাক সভাপতি বদরুল হুদা জেনু পরিচালককে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, করোনাকালীন সময়েও বর্তমান পরিচালক এর নেতৃত্বে কুমিল্লাবাসীর সেবায় নিরলস ভাবে কাজ করে গেছেন। তিনি সনাকের পক্ষ থেকে সকল কার্যক্রমে অব্যাহত সহযোগিতার কথা পুর্নব্যক্ত করেন। মতবিনিময় সভায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন পর্যায়ের সেবাদানগ্রহণকারী প্রতিনিধিবৃন্দ, সনাক সদস্য আলহাজ¦ শাহ্ মো: আলমগীর খান, রোকেয়া বেগম শেফালী, অধ্যাপক নিখিল রায়, টিআইবি কর্মকর্তা ও ইয়েস প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।।