কুমিল্লায় ভিক্ষুক,বেদে ও হিজড়ার উৎপাত
কুমিল্লা নগরীতে ভিক্ষুক বৃদ্ধি পেয়েছে। হিজরাদের উৎপাত আছে আগের মতই। বেদেদের চাঁদাবাজিতে নিরুপায় পথচারীরা। এনিয়ে গত সপ্তাহে সাপ্তাহিক আমোদ পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
সংবাদে উল্লেখ করা হয়,নগরীর কান্দিরপাড় বেদে সম্প্রদায়ের দল বেঁধে টাকা তোলার চিত্র। মেয়ের বিয়ে, হাসপাতালে রোগী ভর্তিসহ নানা চলনা-কৌশলে মানুষ থেকে টাকা আদায় করে বেদেদের দল। টাকা না দিলে কাপড় ও পথচারীদের ব্যাগ নিয়ে টানাটানি করে। অন্যদিকে পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডের জাঙ্গালিয়া-লাকসাম সড়কে হিজড়াতে চাঁদাবাজি প্রকট আকার ধারণ করেছে। টাকা না দিলে যাত্রীদের হেনেস্তা করেন সংগঠিত হিজড়াদের দল। পদুয়ার বাজার, টমছমব্রিজ ও কান্দিরপাড়ের সিএনজি অটো রিকশা থামার স্থানেও দেখা গেছে ভিক্ষুকদের আধিপত্য।
পদুয়ার বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, ইদানিং ফকির অনেক বেড়েছে। আগে এতো ফকির ছিলো না। এখানে তাদের গ্রুপিং আছে, দিন শেষে সর্দারকে টাকা দিতে হয়। বাসে হিজড়ারা টাকা নেয় নতুন কিছু না। এখানে তাদের সমিতি আছে, নেতা আছে। দোকানে আসলে আমরাও ভয়ে চাঁদা দিতে বাধ্য হই, নয়তো লজ্জায় পড়তে হয়।
জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, প্রতিবন্ধী ভাতা ৬৭৬২৮, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা দুঃস্থ মহিলা ভাতা ৪৭ হাজারের বেশি, ভিক্ষুক ভাতা প্রায় ১৪ হাজার, হিজড়া জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়ন ভাতা ১১২, বেদে জনগোষ্ঠির ভাতা ৩৭জনসহ কুমিল্লায় ভাতা ভোগীদের টাকা যথা সময়ে তাদের ব্যাংক একাউন্ডের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। হিজড়াদের কর্মদক্ষ করতে কম্পিউটার, সেলাইসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে।
আমরা মনে করি, সড়ক,মহাসড়ক ও বাজার উৎপাত মুক্ত করবে। বাজার হিজরা,ভিক্ষুক ও বেদেদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করে প্রশাসন মানুষের চলাচল নির্বঘ্ন করবে।