‘পদোন্নতিতে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় শিক্ষা ক্যাডার’

৩ দিনের কর্মবিরতিতে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড ইউনিটের কর্মকর্তারা
আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসন, সুপার নিউমারারি পদে পদোন্নতি, অধ্যাপক পদ তৃতীয় গ্রেডে উন্নীতকরণ, অর্জিত ছুটি প্রদান এবং ক্যাডার কম্পোজিশনের সুরক্ষা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা নিয়োগবিধি বাতিল, শিক্ষা ক্যাডারের  তফসিলভুক্ত পদ থেকে শিক্ষা ক্যাডার বহির্ভূতদের প্রত্যাহার, জেলা উপজেলায় শিক্ষা ক্যাডার নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা প্রশাসন সৃষ্টি ওপ্রয়োজনীয় পদসৃজন, পদসৃজনে জটিলতা কাটানোসহ বিভিন্ন দাবিতে ১০, ১১ ও ১২ অক্টোবর  সারাদেশে একযোগে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা কর্মবিরতি পালন করছেন।
কর্মসূচির ধারাবিকতায় বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির আহবানে কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড ইউনিটের  উদ্যোগে সকাল ৯ টা থেকে দিনব্যাপী সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন বোর্ডে  কর্মরত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাবৃন্দ ।
কর্মবিরতিতে উপস্থিত ছিলেন  কুমিল্লা  শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. জামাল নাছের, সচিব প্রফেসর নূর মোহাম্মদ,  পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. আসাদুজ্জামান, কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মো: জহিরুল ইসলাম পাটোয়ারী,  বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর মো. আজহারুল ইসলাম,  উপ-বিদ্যালয় পরিদর্শক মোহাম্মদ কামরুজ্জামানন, উপ- কলেজ পরিদর্শক বিজন কুমার চক্রবর্তী, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (সনদ) ড. মো.  শফিকুল ইসলাম, উপ-সচিব (প্রশাসন) এ,কে,এম, সাহাব উদ্দিন, উপ-বিদ্যালয় পরিদর্শক মোহাম্মদ জাহিদুল হক উপ-সচিব (একাডেমিক) মোহাম্মদ সাফায়েত মিয়া, উপ- পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (উচ্চমাধ্যমিক) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান,  উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ  শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
কর্মকর্তারা  বলেন, পদোন্নতিতে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় রয়েছে শিক্ষা ক্যাডার। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও সময়মতো পদোন্নতি না হওয়ায় অনেকে ১০ বছর যাবত এক পদেই রয়েছেন, এ মুহূর্তে এমন পদোন্নতির অপেক্ষায় আছেন ৭ হাজার কর্মকর্তা। সময়মতো পদোন্নতি না হওয়ায় অনেকে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবেই অবসরে যাচ্ছেন। গত ২৭ সেপ্টেম্বর সহযোগী অধ্যাপক পদে ৬৯০ জনের পদোন্নতি হয়েছে, অথচ এই পদে ৩ হাজারের মতো কর্মকর্তা পদোন্নতি পাওয়ার যোগ্য। দাবিগুলো পূরণে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে আগামী   ১২ অক্টোবরও  সর্বাত্মক কর্ম বিরতি চলবে। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।